ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ : | বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
(দ্বিতীয় অংশ) : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সাময়িক বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। সৌদি আরবের রিয়াদ ও জেদ্দার কয়েক দফা আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পুতিন এবং জেলোনেস্কি সম্মত হয়েছেন তিরিশ দিন শান্তি চুক্তি বহাল রাখার জন্য ।
তবে, কার্যকর করার শর্তগুলো বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে বিভিন্ন অজুহাতে। মূল চুক্তির একটি হলো কেউ কারো এনার্জি স্থাপনা, সুবিধাদি আক্রমণ করতে পারবে না । বারবার দু’পক্ষই এ শর্ত লংঘন করেছে। কৃষ্ণসাগর আক্রমণ থেকে দু’পক্ষই বিরত থাকবে যাতে শষ্য চলাচল বিঘ্নিত না হয় শর্তটি এখন পর্যন্ত মানা হচ্ছে এমনই প্রতীয়মান হচ্ছে।
সম্প্রতি রাশিয়া এনার্জি ফ্যাসিলিটিজের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে, ১। তৈল শোধনাগার, ২। গ্যাস লাইন ও পাইপ, পাম্পিং ষ্টেশন অন্তর্ভূক্ত আছে, ৩। বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ট্রান্সমিশন অবকাঠামো, পাওয়ার প্ল্যান্টসমূহ এবং ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম আকর্মণ করা যাবে না এমন শর্ত যুক্ত আছে ৪। নিউক্লিয়ার প্যান্টসমূহ আক্রমণ থেকে অব্যাহতি পাবে, এবং ৫।
হাইড্রোইলেক্ট্রিক ড্যাম সমূহ নষ্ট করা যাবেনা। ১৮ মার্চ, ২০২৫ থেকে তিরিশ দিনের জন্য এ শান্তি চুক্তি বলবৎ থাকার কথা থাকলে শর্তসমূহ লঙ্ঘিত হয়েছে বারবার। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের উপর দারুণ নাখোশ। বিরক্ত জ্যালেনোস্কির উপর ও । ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে দহরম তার মোটেও পছন্দ নয়। পুতিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে যুদ্ধ প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছেন এ কৌশল তিনি বুঝতে পেরেছেন।
পুতিন ইদানীং আরো অনেক কটি শর্ত জুডে দিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো: ১। ইউক্রেন আক্রমনের মূল কারণ হলো ইউক্রেনকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত দেশ হতে হবে। ২। ঞ্ঞ্য হবে। ৩। ইউক্রেন ন্যাটো জোটে যোগ দিতে পারবে না। ৪। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির পরিবর্তন কারণ মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও জেলোনেস্কি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন যা পুতিনের মতে অবৈধ । নিয়মতান্ত্রিক ভাবে বৈধ সরকার আসলে যুদ্ধ বন্ধ এবং শান্তি চুক্তি হতে পারে। জেলেনোস্কি চুক্তি স্বাক্ষরের বৈধতা নেই এমন ধারণা পুতিন জোরেশোরে বলছেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেন এমন ঘোষনা কার্যকর করা যায়নি এ জন্য পুতিনের উপর বেশ রাগান্বিত। জেলেনোস্কি অতি মূল্যবান শেয়ার মিনারেল চুক্তি স্বাক্ষর থেকে কিছুটা হলেও সরে এসেছেন এ আলামতে তার উপরেও ক্ষিপ্ত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এখন বলছেন জাতিসংঘের তত্বাবধানে ইউক্রেন শাসিত হলে সঠিক কাজ হবে। অনুমান করা যায় জেলোনেস্কি যাতে ইউরোপিয়ান জোটভুক্ত দেশের পর্যবেক্ষণ সেনাবাহিনী ইউক্রেনে না আনেন তা প্রতিহত করার জন্য পুতিনের এ প্রচেষ্টা এবং কৌশল। পুতিনের আকাংখা যুদ্ধে জয়লাভ করে ইউক্রেন ভূমি দখল; শান্তি প্রক্রিয়া কার্যকর হোক তার কাম্য নয়।
Posted ২:০৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh